"লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা কবে আসবে?
নতুন আবেদন ও পেমেন্ট নিয়ে সরকারের বড় ঘোষণা!"
—————————————————————————————————————————
পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম জনপ্রিয় প্রকল্প লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, যার মাধ্যমে ২ কোটি ২১ লক্ষ মা-বোন প্রতিমাসে আর্থিক সহায়তা পাচ্ছেন। সম্প্রতি দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে আরও ৩ লক্ষ নতুন আবেদন জমা পড়েছে। সাধারণত প্রতি মাসের ১-৭ তারিখের মধ্যে রাজ্য সরকার এই প্রকল্পের টাকা দেয়। বর্তমানে অনেক উপভোক্তা সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন, কারণ এক মাস টাকা পেলেও পরের মাসে অনেকে টাকা পাচ্ছেন না। এই সমস্যা কেন হচ্ছে, তা খতিয়ে দেখার জন্য রাজ্য প্রশাসন ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ নিয়েছে।
এপ্রিল মাসের লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা কবে আসবে, তা নিয়ে মা-বোনেরা অপেক্ষায় আছেন। বাংলার অনেক পরিবারের কাছে এই প্রকল্পের টাকা সংসার চালানোর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সমীক্ষা বলছে, এই অর্থ মা-বোনেরা সন্তানদের পড়াশোনা থেকে শুরু করে ছোটখাটো ব্যবসার কাজে ব্যবহার করছেন।
নবান্নের বিশেষ সূত্রের খবর, ৩১ মার্চের মধ্যে এপ্রিল মাসের পেমেন্ট স্ট্যাটাস আপডেট হয়ে যাবে। তবে ১ থেকে ৩ এপ্রিল সরকারি ছুটি থাকায় ওই সময় টাকা ছাড়বে না রাজ্য সরকার। এপ্রিলের ৪ বা ৭তারিখ থেকে টাকা প্রদান প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে। তবে সকলের অ্যাকাউন্টে একসঙ্গে টাকা আসবে না, বরং ধাপে ধাপে দেওয়া হবে।
২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসে দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে যারা নতুন আবেদন করেছেন, তাদের টাকা কবে আসবে, তা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন করছেন। সরকারি সূত্রের খবর, নতুন আবেদনকারীদের নথি যাচাই-বাছাই এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। ফলে তাদের টাকা পেতে কিছুটা দেরি হতে পারে। তবে নবান্ন সূত্রে জানা গেছে, এপ্রিল মাসেই নতুন শূন্যপদ ঘোষণা হতে পারে। এরপরই নতুন আবেদনকারীদের টাকা পাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে। এছাড়া, বৃদ্ধ ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, জয় জোহর, তপশিলী বন্ধু প্রকল্পের নতুন আবেদনকারীরাও শীঘ্রই তাদের প্রথম কিস্তির টাকা পেতে পারেন। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের ভাতা বাড়ানো নিয়ে প্রশাসনিক স্তরে আলোচনা চলছে। বিশেষ সূত্রের খবর, বিধানসভা নির্বাচনের ছয় মাস আগে ভাতার পরিমাণ বাড়ানোর ঘোষণা হতে পারে।
তবে যারা এখনো টাকা পাননি, তারা অবশ্যই ব্যাংকে গিয়ে KYC আপডেট আছে কিনা তা নিশ্চিত করুন। কারণ, KYC আপডেট না থাকলে অনেক সময় টাকা আটকে যেতে পারে। তাই যেকোনো সমস্যার সম্মুখীন হতে না চাইলে দ্রুত নিকটস্থ ব্যাংকে গিয়ে KYC আপডেট করানো জরুরি।